বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিগজাউমের প্রভাবে দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা!

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪২

ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যে গভীর নিম্নচাপটি অবস্থান করছে সেটা আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় 'মিগজাউম'-এ পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না তবে আগামী ৫ ডিসেম্বর সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আগামী ৬ ও ৭ ডিসেম্বর দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আসতে পারে বলেও জানান মো. ওমর ফারুক।

এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১০) জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

সেজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top