গিলানীকে হত্যার অভিযোগ পাকিস্তানের

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:৩৯

গিলানীকে হত্যার অভিযোগ পাকিস্তানের

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবীণ হুরিয়ত নেতা এবং কাশ্মীর স্বাধীনতা আন্দোলনের আইকন সৈয়দ আলী গিলানি বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীনগরে আটক অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

সৈয়দ আলী গিলানি নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন এবং গত অনেক বছর ধরে গৃহবন্দী ছিলেন যা তার স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল বলে অনেকের মত। তবে তার পরিবারের অভিযোগ গিলানীকে সুচিকিৎসার কোন সুযোগ দেয়া হয়নি।

২০১৫ সালে ভারত সরকারের নির্দেশে সৈয়দ আলী গিলানীর বাসভবনকে সাব জেলে রূপান্তরিত করা হয়। হায়দারপোড়ায় সৈয়দ আলী গিলানীর বাসভবন ও অফিসকে একটি সাব-জেলে রূপান্তর করার পর পুলিশ মোবাইল ও টেলিফোন পরিষেবা ব্যবহারও সীমিত করে দেয় এবং হুরিয়াত নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য অফিসারদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

সৈয়দ আলী গিলানির পারিবারিক সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার বিকালে তার শারীরিক জটিলতা গুরুতর আকার ধারন করে এবং রাতে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জীবনের প্রায় পুরোটা সময় সৈয়দ আলী গিলানি কাশ্মীরের ভারতীয় অবৈধ দখল থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। বলা হয়, তিনি কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের সংগ্রামে অগ্রভাগে ছিলেন।

তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় জামায়াতে ইসলামী জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে যুক্ত ছিলেন কিন্তু পরে তেহরিক-ই-হুরিয়াত জম্মু-কাশ্মীর তেহরিক-ই-হুরিয়াত নামে তার নিজের দল প্রতিষ্ঠা করেন। সৈয়দ আলী গিলানি জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতীয় অবৈধ দখলের কট্টর বিরোধী ছিলেন।

‘হাম পাকিস্তানি হ্যায়, পাকিস্তান হামারা হ্যায়’ স্লোগানটি তৈরি করেছিলেন সৈয়দ আলী গিলানি। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভী গেল বছর সৈয়দ আলী গিলানিকে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আর সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান নিশান-ই-পাকিস্তান প্রদান করেছিলেন। পাকিস্তান এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলছে।

জীবন আহমেদ সরকার
(সাংবাদিক)

এনএফ৭১/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top