বৃহঃস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২

সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটিকে ‘আত্মহত্যা’ বিষয়ক প্রশ্ন করেন

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

প্রতি সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ১০ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির কাছে ‘আত্মহত্যার পরিকল্পনা’–সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন। ওপেনএআইয়ের এক ব্লগপোস্টের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

ওপেনএআই আরও জানিয়েছে, আত্মঘাতী প্রবণতার পাশাপাশি প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য সাত শতাংশ ব্যবহারকারী মনস্তাত্ত্বিক সংকট ও সাইকোসিস বিষয়ে সহায়তা চান। সংখ্যায় যা প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এসব কথোপকথনের সঠিক হিসাব বের করা কঠিন। কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের প্রশ্নগুলো নানাভাবে উঠে আসে এবং অনেক কথোপকথন শনাক্ত করা চ্যালেঞ্জিং।

এরই মধ্যে বাড়তি নজরদারির মুখে পড়েছে ওপেনএআই। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এক কিশোরের পরিবার অভিযোগ তুলে মামলা করেছে—চ্যাটজিপিটির সঙ্গে দীর্ঘ কথোপকথনের পর ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে এবং এতে দায় আছে চ্যাটজিপিটির।

এ ছাড়া গত মাসে শিশু-কিশোরদের ওপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মানসিক প্রভাব খতিয়ে দেখতে ওপেনএআইসহ কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)।

এ পরিস্থিতিতে নতুন জিপিটি-৫ মডেলে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওপেনএআই। তাদের দাবি, আত্মহত্যা–সংক্রান্ত কথোপকথন শনাক্ত ও নিরাপদভাবে সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা আগের ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ শতাংশে।

এ জন্য ১৭০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানী নিয়ে ‘গ্লোবাল ফিজিশিয়ান নেটওয়ার্ক’ গঠন করা হয়েছে। তারা মূল্যায়ন করে মানসিক স্বাস্থ্য প্রশ্নের উত্তরের কাঠামো তৈরি করেছেন।

তবে ব্লগপোস্টে ওপেনএআই স্পষ্ট করেছে—মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের কারণ হিসেবে সরাসরি চ্যাটজিপিটিকে দায়ী করা যাবে না। তাদের ভাষায়, ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সংকটগ্রস্ত মানুষের প্রশ্নও বাড়বে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top