গরমে যা খাওয়া যাবে, যা খাওয়া যাবে না

শাকিল খান | প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ। ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। তবে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে শরীরে অস্বস্তি, ক্লান্তির মত একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই এ গরমে শরীর ঠিক রাখতে যা খেতে পারেন আপনি-

মৌসুমি ফল

মৌসুমি ফল শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। সেই সঙ্গে দেহে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

আম

এতে প্রায় ২৫ রকমের ক্যারাটিনয়েড (রঞ্জক) উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সবল রাখতে সাহায্য করে।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

তরমুজ

এই ফলে ৯২ শতাংশ পানি থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় দেহে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে- বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘বি’১ এবং ‘বি’২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।

বাঙ্গি

এতে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। কিশোরী, গর্ভবতীদের জন্য খুবই ভালো। রক্তস্বল্পতা দূর করে। প্রচুর পানি থাকায় দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top