জাদুকরী রসুন বৃতান্ত!

আমরা রসুন সাধারণত কিনি খাবারের স্বাদ বাড়াতে। মাংস রান্না করতে হলে রসুন ছাড়া তো চলেই না। তবে আসলে ঔষধি গুণের জন্যও রসুনের কদর চিরকাল। কাঁচা রসুন খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে এড়ানো যায় অসংখ্য রোগভোগ। প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার কমে যেতে পারে অনেক রোগের সম্ভাবনা। জেনে নিন রসুনের এর জাদুকরী গুণ।

- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করে। সেই সঙ্গে যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
- হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।
- রান্না হয়ে গেলে রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায়। অ্যালিসিনের প্রাথমিক উপকারিতা হল ক্যান্সার রুখে দেওয়া। তাই কাঁচা রসুন খেলেই একমাত্র অ্যালিসিন শরীরে ঢোকে।

- চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে। ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
- দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
- বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, গলব্লাডার ক্যান্সার,রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্ত রাখে।
- গাঁটে ব্যথা বা আর্থরাইটিস থেকে স্থায়ী মুক্তি মেলে রসুনে। কোনও অসুখ হলে চিকিৎসকরা নানা অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেন। এসব অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া মারার পাশাপাশি উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলিকেও মেরে ফেলে। সেখানে রসুন হচ্ছে অন্যতম প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক।

যেকোনো জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়াই শ্রেয়। তাই সাবধানতার জন্য দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়া ঠিক না। এমনকি রান্নায় রসুন ব্যবহার হলেও অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক না। অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে পারে। অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষদের রসুন না খাওয়াই ভালো।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১