বাঁশের সাঁকোই ৫০ গ্রামের মানুষের ভরসা
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৫৪
হরিণাকুণ্ড থেকে:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড উপজেলার শাখারিদহ-নগরবাথান সড়কের দারিয়াপুরের একমাত্র সেতুটি ভেঙে খালে পড়েছে আম্পান ঝড়ে। তিন ইউনিয়নের কয়েকহাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সেতু। সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ি, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন শত শত কাঁচামাল ব্যবসায়ি ও সাধারণ কৃষক। গ্রামবাসী চাঁদা তুলে সেতুর ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনরকমে চলাচলের ব্যবস্থা করলেও ঘটছে প্রায়ই দুর্ঘটনা।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির দু‘পাশের রেলিংসহ মাঝের পুরো অংশ ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে রিকশাভ্যান, মোটরসাইকেলসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি ছোট ছোট যান। সেতু পারাপারের সময় যাত্রী নামিয়ে চলাচল করছে ওইসব স্থানীয় যান। প্রতিদিন এই সেতু পার হয়ে চলাচল করে হাজারও মানুষ।
সেতু পার হলেই উপজেলার কাঁপাশহাটিয়া, রঘুনাথপুর, দৌলতপুর, চাঁদপুর ইউনিয়নসহ অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারও কৃষক ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা কেনাবেঁচার জন্য যাতায়াত করেন। এছাড়াও সেতুর ওপারে বৈডাঙ্গা বাজার, দশমাইল বাজার, গান্না বাজার ও হলিধানি বাজারে রয়েছে এলাকার বড় পশুর হাট ও পান বাজার। সেখানেও প্রতিদিন কেনাবেঁচা করতে যান শত শত ব্যবসায়ি ও সাধারণ মানুষ। সেতুর এই বেহালদশায় অন্তত ৪০-৫০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করেন এসব ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
দারিয়াপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, প্রায় ষাট বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে আজ অবধি এর সংস্কার করা হয়নি। এমনিতেই দীর্ঘ বছর সংস্কার না করায় সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়েছিলো। আম্পান ঝড়ে পুরো সেতুটি ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে গেছে। চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা মাঝে মাঝেই আসে, সেতুর মাপযোগ করে চলে যায় কিন্তু কোন কাজ হয়না।
কাঁপাশহাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওপর সেতুটি নির্মিত। তবে সড়কটি এলজিইডির হওয়ায় তারা কর্ণপাত করছেন না। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে এলজিইডির কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে, তারা সেতুটির পুন:নির্মাণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমে পুন:নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকল্প দপ্তরের মাধ্যমে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। পাশাপাশি এলজিইডির মাধ্যমেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে সেতুটির পুন:নির্মাণের জন্য খুলনা ডিভিশনাল প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
এনএফ৭১/আরআর/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।