জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলা
মেজর জিয়াসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩১ আগষ্ট ২০২১, ২৩:০৪
রাজধানীর কলাবাগানে পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মসূচি কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী থেকে চাকরীচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এই রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ এবং আসাদুল্লাহ। দণ্ডপ্রাপ্ত মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এছাড়া যে দুইজন খালাস পেয়েছেন। তারা হলেন সাব্বিরুল হক চৌধুরী এবং জুনাইদ আহমদ।
রায় পড়া শুরুর আগে আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় কলাবাগানের বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুবকে কুপিয়ে হত্যা করে। জুলহাজ ও মাহবুবকে হত্যা করে পালানোর সময় বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পারভেজ মোল্লাকেও কোপায়। রাস্তায় পালানোর সময় এক দুর্বৃত্তকে জাপটে ধরেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মমতাজউদ্দিন। তাকেও কুপিয়ে ওই দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। তবে এএসআই মমতাজ ওই দুর্বৃত্তদের একজনের কাছ থেকে একটি ব্যাগ রেখে দিতে সক্ষম হন। ওই ব্যাগে একটি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মুঠোফোন পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে কলাবাগান থানায় দুই মামলা করা হয়। ২০১৯ সালের ১২ মে মামলাটিতে চাকরীচ্যুত মেজর জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
গত বছরের ১৯ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আর গেল ২৩ আগস্ট মামলাটিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর বিচারক রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছিলেন।
এনএফ৭১/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।