শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা
আদালত ৬ আসামির সাজা বহাল রাখলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:১৪
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে করা আসামিপক্ষের আপিল নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় দেন সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। হাইকোর্টের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতে শুনানি শেষে এই রায় দেয়া হলো।
ছয় আসামি হলেন- আব্দুস সামাদ, গোলাম রসুল, জহুরুল ইসলাম, মো. সাহাবুদ্দিন, আব্দুর রকিব ও মনিরুল ইসলাম।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দ্রুতবিচার আইনের মামলায় সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। সেই রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে দায়রা জজ আদালতে ক্রিমিনাল আপিল মামলা দায়ের করে আসামিপক্ষ। একইসঙ্গে আসামিরা দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
কিন্তু তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা। হাইকোর্ট আসামিদের জামিন না দিয়ে দায়রা জজ আদালতে তাদের দায়ের করা ক্রিমিনাল আপিল মামলা ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেন।
সেই অনুযায়ী উল্লিখিত ৪টি আপিল মামলা সম্প্রতি দায়রা জজ আদালতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুনানি সম্পন্ন হয়। আজ বুধবার অ্যাডভোকেট আব্দুস ছাত্তারের আপিল মামলাটি বাদে বাকি তিন মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। এছাড়া তার আপিল ২৭/২১ নম্বর মামলাটি তৃতীয় দিনের মতো শুনানির জন্য দিন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার শুনানি করেন সাতক্ষীরা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ওই ছয় আসামির তিনটি আপিলই নামঞ্জুর হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় ধর্ষণের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় ফিরে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলারোয়ায় পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী ফাতেমা জামান সাথী, আব্দুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল এবং শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। একই সময় সাতক্ষীরার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদী হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৭৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এনএফ৭১/২০২১
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।