আইভী রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২২, ০৫:৫৯
আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন আইভী রহমান।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৪দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নারীনেত্রী আইভি রহমান।
১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের চণ্ডীবের গ্রামে আইভি রহমানের জন্ম। বাবা জালাল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন গৃহিণী। আট বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে আইভী ছিলেন পঞ্চম।
তার পুরো নাম জেবুন্নাহার আইভী। ১৯৫৮ সালের ২৭ জুন নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হলে নামের পরে ‘রহমান’ যুক্ত হয়। শুধু আওয়ামী রাজনীতির জন্য নয়, আইভী রহমান বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে পারিবারিকভাবেও জড়িত ছিলেন।
তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার খালাশাশুড়ি। একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন, দুই মেয়ে তানিয়া বখত ও তনিমা রহমান।
আইভী রহমান ১৯৬৯ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এরআগে, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। রাজনীতি ছাড়াও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং সমাজের অবহেলিত শিশু, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
বিষয়: আইভী রহমান মৃত্যু বার্ষিকী
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।