উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরতের কথা ভাবতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৪৭
দেশ পরিচালনার বিষয়ে আমান উল্লাহ আমানরা যদি উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখতে থাকেন, তাহলে সরকারকে ভাবতে হবে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বদান্যতা দেখিয়েছেন, সেটির আদৌ প্রয়োজন আছে, নাকি তাঁকে আবার কারাগারে পাঠাতে হবে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামালকে নিয়ে রুহুল কবির রিজভীর প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সুলতানা কামালের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি একজন মানবাধিকারকর্মী, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং তাঁর অনেক বক্তব্যের সঙ্গে আমি নিজেও একমত নই। তাঁর বেশির ভাগ বক্তব্যই সরকারের বিরুদ্ধে। তাই বলে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কথা বলা শালীনতা ও শিষ্টাচারবিবর্জিত।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রিজভী সাহেব সুলতানা কামালের ব্যাপারে বক্তব্য দিতে গিয়ে যেভাবে তাঁকে আওয়ামী লীগের দালাল বলেছেন, কখন যে রিজভী সাহেব মির্জা ফখরুল সাহেবকেও আওয়ামী লীগের দালাল বলে বসেন, আমি সেই শঙ্কার মধ্যে আছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল’ প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে তার অর্থ দাঁড়ায়—বাংলাদেশ হওয়াটা সঠিক হয়নি। তাঁর মতে, জিয়া মেজর থাকলেই ভালো ছিল। কারণ, বাংলাদেশের সৃষ্টি না হলে জিয়া তো মেজরই থাকতেন, মেজর জেনারেল হতে পারতেন না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে মির্জা ফখরুল সাহেব আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সবার প্রতি অবমাননা করেছেন এবং তিনি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অযোগ্য হওয়া উচিত। অন্য কোনো দেশ হলে তাঁর বিরুদ্ধে নানা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতো এবং তিনি সেই দেশে রাজনীতি করার অযোগ্য হতেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এ নিয়ে যেভাবে কথাবার্তা ও বিশ্লেষণ হওয়া দরকার ছিল, সেটি আমি দেখতে পাচ্ছি না।
দেশে গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বন্দুকের নলের আগা থেকে যাদের জন্ম, অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলের জন্ম, যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন করেছিল, যে রাজনৈতিক দল তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজদের, দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্তদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে, তারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।