ধর্ষণে মেলেনি প্রমাণ, ফাঁসির ৪ আসামিকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৩৬
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে চারজনকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশে অনুমোদন দেননি হাইকোর্ট।
এ বিষয় ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ফলে চার আসামি খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি।
এদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
এরআগে, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে কমলনগর উপজেলায় একটি ঘরের দরজা ভেঙে আট-নয়জন এক গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে তারা গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে কমলনগর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম আবুল কাশেম।
বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার চর বসু গ্রামের ছানাউল্লাহ, আন্ডার চর গ্রামের মো. রহিম, চর কালকিনি গ্রামের মো. হারুন ও একই গ্রামের আবুল কাসেম।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।