যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, স্যাংকশান তুলে নিতে হবে

যুদ্ধ বন্ধ করে বাঁচার সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০১:০৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক বাধা অতিক্রম করে এবং নিজস্ব অর্থায়নে পায়রা সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু হয়েছে। ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ঠিকই আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড দিয়ে পায়রা বন্দরের কাজটা শুরু করলাম। ভবিষ্যতে আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে এই ফান্ড কাজে লাগাতে পারবো।

তিনি  আরও বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একটি ফান্ড করা হয়। এই ফান্ডের নাম বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড। সেখান থেকে স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে টাকা দেওয়া হয়েছে পায়রা বন্দরের উন্নয়নে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পায়রা বন্দরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন।

প্রায় ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, আটটি জাহাজের উদ্বোধন, প্রথম টার্মিনাল এবং ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ। প্রধানমন্ত্রী এর মধ্যে কয়েকটি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন এবং কয়েকটি কাজের উদ্বোধন করেছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে, খাদ্য আমদানিতে। অনেকেই জানতে চায়, রিজার্ভের টাকা গেলো কোথায়। তাদের বলতে চাই, এটা কেউ চিবিয়ে খায়নি। রিজার্ভের টাকা গেছে আমদানিতে, মানুষের কাজেই এটা লাগাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দরটা আসলে তৈরির চিন্তা যখন করি, অনেকেই বাধা দিয়েছে। এখানে সিলড, এখানে নৌ চলাচলের সুযোগ করা যাবে না, এসব বলেছে। তবে আমি নিজে এখানে প্রতিটা নদীতে ঘুরেছি। স্পিডবোটে করে করে প্রত্যেকটা চরে গিয়েছি। দেখেছি এখানকার অবস্থা।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ বিশ্বাসই করতে পারে নাই এখানে একটা বন্দর হতে পারে। আমার নিজের ভেতরেই অনেক বাধা ছিল। বাবার কাছে ছোটোবেলায় গল্প শুনেছি, নদীতে ড্রেজিং হতো। গভীরতাটা খুব জরুরি। অনেকে বলেছে ড্রেজিং করে দিলে পরে আবার সিলড হয়ে যাবে। তবে প্রথমে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে, পরে নিয়মিত ড্রেজিং অব্যাহত রাখতে হবে। পয়রা বন্দরে দেশের সর্ববৃহৎ ড্রেজিংয়ের কাজ হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে নৌপথ সচল করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্যটন বাড়ানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে হঠাৎ করে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। করোনা আছে, এর মধ্যে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এটার জন্য অস্ত্র ব্যবসায়ীরা হয়তো লাভবান হচ্ছে। কিন্তু কষ্ট হচ্ছে সবার। আমরা বলেছি, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, স্যাংকশান তুলে নিতে হবে।

যুদ্ধংদেহী ভাব নিয়ে যেসব দেশ রাস্তায় নেমেছে তাদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধটা বন্ধ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। মানুষকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। জীবন মান ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top