রিজার্ভ ছাড়াল ৪৩ বিলিয়ন ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৪০
প্রথমবারের মতো দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
এই খবরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, “নতুন বছরে জাতির জন্য এটি অত্যন্ত সুখকর একটি ঘটনা।”
গত কয়েক বছর ধরেই রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। দশ বছর আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে সেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।
৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে গত বছরের অক্টোবরে। চলতি বছরের ৩০ জুন সেই রিজার্ভ বেড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। অক্টোবরের ৮ তারিখে ছাড়ায় ৪০ বিলিয়ন ডলার।
করোনা মহামারির মধ্যেই চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
চলতি ডিসেম্বর মাসের ২৯ দিনে ১৯১ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
সবমিলিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৯ ডিসেম্বর সময়ে রেমিটেন্স এসেছে ১২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ দেশে রয়েছে তা দিয়ে আগামী এক বছরের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের সঙ্গে রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ কারণে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। করোনাভাইরাসের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের নিম্নগতি থাকলেও প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এর পাশাপাশি দেশে উন্নয়নশীল অংশীদারদের বিনিয়োগও আসা শুরু করেছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।