দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মূল্যায়ন
গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:০১
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘গণতন্ত্র সূচক ২০২২’ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে এবারের সূচক তৈরি করা হয়েছে। সূচকে ১০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৯৯। ২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৯৯। ২০২০ সালের সূচকে একই স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম।
সূচকে পাঁচটি মূল বিষয়ের আলোকে দেশগুলোর গণতন্ত্রের অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক স্বাধীনতা। সূচকে দেশ ও অঞ্চলগুলোকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।
এবারের সূচকে পূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে রয়েছে ২৪টি দেশ। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে ৪৮টি দেশ। হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায় ৩৬টি দেশ। কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় ৫৯টি দেশ।
এদিকে, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিভাগে রয়েছে বাংলাদেশ। ১০-এর মধ্যে যেসব দেশের স্কোর ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে, তারাই এই বিভাগে রয়েছে। এই বিভাগে সবার ওপরে বাংলাদেশ। সবার নিচে মৌরিতানিয়া। সূচকে দেশটির অবস্থান ১০৮তম, স্কোর ৪ দশমিক শূন্য ৩। এই বিভাগে রয়েছে ভুটান (৮৪তম), ইউক্রেন (৮৭তম), উগান্ডা (৯৯তম), নেপাল (১০১তম), পাকিস্তান (১০৭তম)।
সূচকে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র (৩০তম), মালয়েশিয়া (৪০তম), ভারত (৪৬তম), ইন্দোনেশিয়া (৫৪তম), শ্রীলঙ্কা (৬০তম), সিঙ্গাপুর (৭০তম)।
গণতন্ত্র সূচকে শীর্ষ স্থানে আছে নরওয়ে। পূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগের এই দেশের স্কোর ৯ দশমিক ৮১। দ্বিতীয় অবস্থানে নিউজিল্যান্ড, তৃতীয় আইসল্যান্ড। সুইডেন চতুর্থ, ফিনল্যান্ড পঞ্চম। সবার নিচে রয়েছে আফগানিস্তান (১৬৭তম)।
কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা বিভাগের এই দেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৩২। বিভাগটির অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার (১৬৬তম), উত্তর কোরিয়া (১৬৫তম), মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র (১৬৪তম), সিরিয়া (১৬৩তম), চীন (১৫৬তম), ইয়েমেন (১৫৫তম), ইরান (১৫৪তম), সৌদি আরব (১৫০তম), রাশিয়া (১৪৬তম)।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে এমন ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল ও বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের নিয়মিত চাপ থাকে। এই বিভাগে থাকা দেশগুলোর বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপ দেওয়া হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এ শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।