লাগাম টেনে ধরার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন কত দাঁড়িয়েছে, জানেন?
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:১৭
দেশের জনসংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪৭৭ জনে। সাময়িক হিসাবে ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। চূড়ান্ত ফলাফলে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৬২ জন বেড়েছে। চূড়ান্ত হিসাবে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ হয়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত রিপোর্টে এ তথ্য মিলেছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে বিআইডিএস চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গত বছরের ২৭ জুলাই বিবিএসের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিবেদনে সে সময় বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আট কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।
২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়, সে সময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশে জনশুমারির তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পর ৫ শতাংশ পর্যন্ত আন্ডার কাউন্ট গ্রহণযোগ্য। তাই বিবিএসের জনশুমারি সঠিক বলে ধরা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যার টাইম বোমার ওপর বসে আছে বাংলাদেশ। এই টাইম বোমার বিস্ফোরণের ধাক্কা কমিয়ে আনার সময়ও ফুরিয়ে যাচ্ছে। দেশ যেহেতু বাড়ছে না, তাই জনসংখ্যা বাড়ার হার কমাতেই হবে। আর জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।