• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


অনলাইন পত্রিকা আওতাভুক্ত করা হলে শক্তিশালী হবে প্রেস কাউন্সিল: তথ্যমন্ত্রী

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:৫৪

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ফুটেজ)

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখন ফেসবুক পেজ খুলে সেটিকেও গণমাধ্যম হিসেবে প্রচার করা হয়। সংশ্লিষ্ট সবাই আবার সাংবাদিক পরিচয় দেয়। গ্রামে-গঞ্জে এখন যে ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল, ভুঁইফোড় ফেসবুক, আবার একটা ক্যামেরা নিয়ে ওইটাই একটা মিডিয়া -এটিই বাস্তবতা। ফলে কোনটি প্রকৃত সংবাদমাধ্যম এবং কে সাংবাদিক, তা নিয়ে বিরাট বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এগুলোর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। যারা সত্যিকারের সাংবাদিক তারা এর সাথে কখনই যুক্ত নয়। সাংবাদিকরাও চায় এগুলো থেকে মুক্তি। সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দাবিও এটি। আমি আপনাদের দাবির সাথে একাত্ম।  এ জন্য সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন প্রয়োজন। প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়েই এটি করা বাঞ্ছনীয়।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। আমরা মনে করি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বিকাশ অপরিহার্য। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করছে।

ড. হাছান বলেন, যুগের প্রয়োজনে প্রেস কাউন্সিল আরও শক্তিশালী হবে, অনলাইন পত্রিকাগুলোও এর আওতায় আসবে। অনলাইন পত্রিকা ও পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোকে আওতায় আনা ও প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাউন্সিলের সদস্যরাই কয়েক বছর ধরে অংশীজনদের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি খসড়া আইন চূড়ান্ত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রেস কাউন্সিলের বেশির ভাগ সদস্য সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতা এবং পত্রিকার সম্পাদক। তারাই এটি চূড়ান্ত করেছেন। কিন্তু খসড়া চূড়ান্ত হয়ে যখন আইন প্রণয়নের দিকে যাচ্ছিল তখন এর বিরোধিতা শুরু হয়েছে। সব দেশেই আইন সংশোধন করা হয়, অথচ বাংলাদেশে আইন যুগোপযোগী করতে গেলেই একটা পক্ষ এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। আশা করি প্রকৃত সাংবাদিকরা এ বিষয়ে এগিয়ে আসবেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে কাউন্সিলের মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এরআগে, কাউন্সিল চত্বরে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের সভাপতিত্বে প্রেস কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে মোজাফফর হোসেন পল্টু, ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং এম জি কিবরিয়া চৌধুরী সভায় বক্তব্য রাখেন।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top