এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন ছিল
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাটি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল: মির্জা ফখরুল
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৭:৪৫
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে গর্বিত সেনাবাহিনীর মনোবল ধ্বংস করতে বিডিআর বিদ্রোহের চক্রান্ত হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধেও এতজন সামরিক কর্মকর্তা আমরা হারাইনি। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা প্রচণ্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাটি যেভাবে তদন্ত হওয়ার দরকার ছিল, সেভাবে হয়নি । প্রকৃত অপরাধী এবং এর পেছনে যারা ছিলেন, তাদের শনাক্ত করতে যে তদন্ত প্রক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল, সেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি। যে তদন্ত প্রতিবেদন করা হয়েছিল, সেটির পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি দেশবাসী জানতে পারেনি।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় প্রায় সাত হাজার সৈনিককে নির্দোষ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের মামলার শুনানি শেষ হয়নি। কারাগারে তারা ১৩/১৪ বছর ধরে অমানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আজকে দাবি করবো তাদের বিরুদ্ধে যে জুডিসিয়াল সমস্যাগুলো রয়েছে, তা দ্রুত শেষ করে একটা ব্যবস্থা করা উচিত, তাদের মুক্তি হওয়া উচিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক একটি দিন। এই দিনে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত সেনা কর্মকর্তাকে হারাতে হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এজন্য জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। যে গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছে, অসংখ্য মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন, সেই গণতন্ত্র আমরা ফিরে পেতে চাই।
'বিডিআর বিদ্রোহের দিন খালেদা জিয়ার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল'— আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, এটা দায়িত্বহীন একটি কমেন্ট। বড় একটি ঘটনা যেখানে সমস্ত জাতির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।