প্রাথমিকের বৃত্তির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০২:৩৮
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে মঙ্গলবার। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত, প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক যুগ পর প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হলেও এ বছর আলাদা করে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
এরআগে, গত বছরের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধা বৃত্তি প্রদানের বিকল্প মেধা যাচাই পদ্ধতি বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঝরে পড়া রোধ, মেধার বিকাশে ২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী ও পরের বছর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী চালু করে সরকার। এ দুটি পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হতো। বৃত্তি পরীক্ষা চালু হলে তার ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
দেশের প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ২০ শতাংশ এবার প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। তাদের মধ্যে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জন সাধারণে বৃত্তি পাবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পায়। প্রাথমিকে বৃত্তিপ্রাপ্তদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই বৃত্তি দেয়া হয়। এক যুগের বেশি সময় পর গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা হয়। পঞ্চম শ্রেণি পেরিয়ে মাধ্যমিকে পা রাখা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারা কারা সরকারি বৃত্তি পাবে, তা নির্ধারণে এই পরীক্ষা।
এক সময় আলাদাভাবে এই পরীক্ষা নেওয়া হত। ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। মহামারীর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম যেহেতু চালু হচ্ছে, সেহেতু সমাপনী পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না। এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ২০২২ সালের শেষে আবারও আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৩০ এবং নারী শিক্ষক ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৩৬ জন। আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৪১ লাখ ৪৪৫ জন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।