বিরোধীরা মিথ্যার ধুয়া তুলে ঝামেলার চেষ্টা করে
আওয়ামী লীগের আমলে ভোট চুরির সুযোগ নেই
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০২:৪৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে; এটা তো আমাদেরই স্লোগান। আমাদের যে আন্দোলন আগাগোড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য করেছি। জনগণের ভাতের অধিকার এবং ভোটের অধিকারের আন্দোলনও কিন্তু আমাদের করা। সেটা কিন্তু আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
ইভিএম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচনটা ডিজিলাট পদ্ধতিতে হোক। কিন্তু অনেকেই তা চায় না। কিছু কিছু মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের বিরোধিতা করছে। এখন এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। নির্বাচন কমিশন যতোটুকু পারে ততোটুকু করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তারা নেবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন ছিলো তা সব করে দিয়েছি। কিছু বিরোধী দল মিথ্যার ধুয়া তুলে ঝামেলা তৈরির চেষ্টা করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে উন্নয়ন হয় সেটা প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, জনগণই আমাদের মূলশক্তি। জনগণ আমাদের পাশে ছিল বলেই আমরা পেরেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে কাতার পাশে থাকবে। কাতার সফরকালে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আশ্বাস প্রদান করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের এলডিসি সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে এটাই সম্ভবত বাংলাদেশের শেষ অংশগ্রহণ। কারণ ২০২৬ সালে আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাব, আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব। তিনি বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না। বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়।
তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমি বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেছি। এছাড়া, কোভিড অতিমারি ও চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি।
সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কাতার সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতার সফরে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।