বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৫৪
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গোড়ান খেলার মাঠের উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মেয়র বলেন, কোন জায়গায় দুর্যোগ হলে প্রথম যে কাজ সেটা হচ্ছে উদ্ধার। যেটা গতকালই আমরা করতে পেরেছি। এখন আমরা পরিপূর্ণভাবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের পাশে থাকবো।
তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আজকে কথা হয়েছে, উনিও বলেছেন যে এ ঘটনার ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার হবে। তারপরই সব ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণের অনুদান দেওয়া হবে। যাতে করে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। তারা যেন ব্যবসায় আবার নামতে পারেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ভেতর চারটি মার্কেট। সেগুলো হলো– বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট। কাঠ ও টিনের তৈরি এই মার্কেটগুলো তিনতলার। সেখানে তিন হাজারের মতো দোকান আছে। এর সবকটি পুড়ে গেছে। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স লাগোয়া সাততলা এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন লাগে।
এর দক্ষিণ পাশে আছে মহানগর কমপ্লেক্স। দোতলার এই মার্কেটটি টিনের। ওই মার্কেটও ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে চারতলা বঙ্গ ইসলামিয়া ও সাততলা বরিশাল প্লাজা নামে আরও দুটি মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন ছড়ায়। সব মিলিয়ে আট মার্কেটের পাঁচ হাজারের বেশি দোকান ও গুদাম পুড়ে যায়।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন। বিমানবাহিনীর দুটি বেল-২১২ ও দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার পর্যবেক্ষণ মিশনও আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার সেখানে দায়িত্ব পালন করে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ নিয়ে কোনো সংস্থা স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি। তদন্ত শেষে তাঁরা এ ব্যাপারে মত দেবেন। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর দাবি, বঙ্গবাজারের ১০ ফুট গলি থেকে আগুনের সূত্রপাত।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।