দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২৩, ০৩:১৬
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে সবার কষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি কারোরই কাম্য নয়। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিংয়ের পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে, যা সবারই জানা প্রয়োজন।বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে এ পরিস্থিতি দ্রুততম সময়ে সমাধানের আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
সোমবার বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দুঃখ প্রকাশ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘চলমান তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়, তবে খুব শিগগিরই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। আশা করছি, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যা সবার জানা উচিত। কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা আপনারা সবাই জানেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েলসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে আকাশচুম্বী হয়েছে, এমনকি বাজারে এর প্রাপ্যতাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, ডলারের বিনিময় হার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস অয়েলের মতো জ্বালানি আমদানিতে প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে চলমান লোডশেডিং হচ্ছে।’
নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশের প্রতিটি ঘর বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় এনেছে। দেশে বিদ্যুতের আগের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ২০০৮ সালে মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পেত, যা এখন শতভাগ। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তখন দেশবাসী দিনে কমপক্ষে ১৬-১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং ভোগ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা গত এক যুগে বিদ্যুতের উৎপাদন ৫ গুণের বেশি বাড়িয়েছি। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ)।’
জনগণের এমন ভোগান্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে চাই, এ পরিস্থিতি সাময়িক। খুব দ্রুতই আমরা ভালো অবস্থায় ফিরে আসব।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।