ডেঙ্গুতে জুনের ১০ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হাজার রোগী

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৩, ০১:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর বিস্তার। এ বছর এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ হাজার। এই রোগীদের এক-তৃতীয়াংশই ভর্তি হয়েছেন জুনের প্রথম ১০ দিনে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৯ জনই মারা গেছেন এ সময়ে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৫৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এরআগে গত বুধবার ১৪৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এনিয়ে এ বছর সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ হাজার ২১ জনে। তাদের ৯৯৯ জনই জুন মাসের রোগী।

গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যে ১৫৬ জন ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ঢাকায় ১৪৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৪৯ জন রোগী। এদের মধ্যে ঢাকায় ৪৭৩ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৬ জন।

মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে ১০৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এব মে মাসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডেঙ্গুর মৌসুম অক্টোবর-নভেম্বর হলেও এবার তা বছরের শুরুতে আঘাত হেনেছে। আক্রান্তের পাশাপাশি প্রাণহানিও ঘটছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত বছরের এ সময়ে যত রোগী শনাক্ত হয়েছিল, চলতি বছর শনাক্ত হয়েছে তার প্রায় ছয়গুণ।

২০২২ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু হলেও প্রথম ছয় মাসে মারা যায় মাত্র একজন। আর চলতি বছর প্রকোপ দেখা দেওয়ার ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। ফলে এ বছর আক্রান্তে ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড হতে পারে বলে শঙ্কিত সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, মুষলধারে বৃষ্টি না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। তাই প্রতিটি এলাকায় জোর সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো জরুরি। কারণ এ সময়ে বাসা-বাড়ি ও নির্মিত ভবনের আশপাশে পানি জমে থাকে, যা থেকে এডিস মশার জন্ম হয়। এর পাশাপাশি প্রাণহানি ঠেকাতে হাসপাতালগুলোতে ফ্লুয়েড ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top