দেশে ফিরতে ট্রাভেল পাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৩, ০৩:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

পাসপোর্ট না থাকায় দেশে ফেরার ‘ট্রাভেল পাস’ পেয়েছেন ভারতে আটকে পড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার দেশে ফেরার অনুমতি ‘ট্রাভেল পাস’ হাতে পেয়েছেন তিনি।

সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘গতকালই ট্রাভেল পাস বাংলাদেশ মিশন থেকে পেয়েছি। এটি ৮ জুন ইস্যু করা হয়েছে। এখন দেশে ফেরার পথ খুললো।’ তবে এখনো ভারতে আরো কিছু আইনি প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন।

কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই তো ট্রাভেল পাস পেলাম। দেশে ফেরার আগে শারীরিক সমস্যা ও চেপআপ করিয়ে নিতে চাই। সেজন্য দিল্লী যেতে হবে। যে হাসপাতাল আমি চিকিৎসা করিয়েছি সেখানের ডাক্তারদের দেখাতে হবে।’

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বেশ কিছু রোগে ভুগছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে নামেন।

২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য হন,পরে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পান। সালাহ উদ্দিন শিলংয়ে থাকার সময়ই বিএনপির কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি যখন আন্দোলন করছিল, তখন দলের যুগ্ম মহাসচিবের পদে ছিলেন সালাহ উদ্দিন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে দলের মহাসচিবসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলে সালাহ উদ্দিন দলের মুখপাত্র হিসেব আত্মগোপনে থেকে গণমাধ্যমে কথা বলতেন।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে তিনি নিখোঁজ হলে বিএনপি অভিযোগ তোলে, সরকারি কোনো সংস্থা তাকে তুলে নিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়।

রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হওয়ার ৬৩ দিন পর ওই বছরের ১১ মে সিলেটের ওপারে মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতের প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ।

একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। সেই মামলায় রায়ে এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি শিলং জজ আদালত তাকে খালাস দেয়।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top