নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে টুঙ্গিপাড়া কার্যালয়ে শেখ হাসিনা

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৩, ২০:২১

ছবি:সংগৃহিত

এরই মধ্যে টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়েছেন তিনি। এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বাসভবন থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান সভাপতি। এ সময় উষ্ণ অভ্যর্থনা, হর্ষধবনি আর স্লোগানে-মিছিলে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বরণ করে নেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। পরে অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে।

এ সময় সূচনা বক্তব্যে নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, নির্বাচনী এলাকার সার্বিক দায়িত্ব স্থানীয়রা নিয়েছেন বলেই তার পক্ষে সম্ভব হয়েছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। যার ফলে গেলো সাড়ে ১৪ বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশ। শহর থেকে গ্রাম সবখানেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। পরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মতামত শোনেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এর আগে, শনিবার (১লা জুলাই) কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা এনেছে, এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং দেশবাসীর জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তাই আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলে যায়। এ সময় তিনি গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য তার সরকারের প্রচেষ্টা সংক্ষেপে তুলে ধরেন। পাশাপাশি, এসব উন্নয়ন যারা দেখতে পায় না, তাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই উন্নয়নের সুফল কিন্তু ঠিকই তারা ভোগ করছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে কখনো ক্ষমতায় দেখতে চায় না এবং দেশের উন্নয়নও দেখতে পায় না, তাদের ব্যাপারে কিছুই বলার নেই। যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তাদের চ্যালেঞ্জ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবশ্যই দেশের এ উন্নয়ন অব্যাহত রাখব।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজের বাবা-মা ও ভাই হারিয়েছি। আপনারাই (কোটালীপাড়ার মানুষ) আমার আপনজন। আপনারা সব সময়ই আমার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’


এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় তার দুদিনের সফরের অংশ হিসেবে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিন ঘণ্টার সড়কপথে পদ্মা সেতু পার হয়ে সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ও একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সঙ্গে ছিলেন। তার সফরকে কেন্দ্র করে গোটা গোপালগঞ্জ উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বর্ণিল পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে সেজেছে পুরো এলাকা এবং জেলাজুড়ে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ।

আজ বিকেলে টুঙ্গিপাড়া থেকে তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top