রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১

সাগর দিয়ে জ্বালানি তেল খালাসের কার্যক্রম শুরু

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৩, ১৬:১৯

ছবি:সংগৃহিত

আজ (৩জুলাই) সোমবার সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসা ‘এমটি হোরাই’ ট্যাংকার পরীক্ষামূলকভাবে এই তেল খালাস শুরু করতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসা ট্যাংকারটি বঙ্গোপসাগরে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ে (ভাসমান জেটি) নোঙর করেছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে ১১০ কিলোমিটার লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালী ও আনোয়ারা হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নেয়া হবে এ জ্বালানি তেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে ৭ হাজার ১২৫ কোটি টাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড।

কর্ণফুলী নদীতে তেল খালাসের বিশেষায়িত জেটিতে বড় ট্যাংকার ভিড়তে না পারায় জ্বালানি তেল নিয়ে আসা বড় ট্যাংকারগুলো সনাতন পদ্ধতিতে প্রথমে সাগরে নোঙর করে রাখা হতো। এরপর ছোট ট্যাংকারের মাধ্যমে তেল স্থানান্তর করে জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হতো। এতে এক লাখ টন তেলবাহী একটি ট্যাংকার থেকে তেল খালাসে ১০ দিন বা তারও বেশি সময় লাগত। তেল খালাসে খরচ ও সময় বেশি লাগায় ২০১৫ সালে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। নতুন প্রকল্পের আওতায় পাইপলাইনের মাধ্যমে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় এক লাখ টন জ্বালানি তেল খালাস সম্ভব হবে।

জ্বালানি তেল খালাসের জন্য ভাসমান জেটিতে ট্যাংকার ভেড়ানো, টাগবোটসহ যাবতীয় সহায়তা দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল বণিক বার্তাকে বলেন, প্রকল্পটির আওতায় ১১০ কিলোমিটার লম্বা দুটি সমান্তরাল পাইপলাইন বসানো হয়েছে। একটি পাইপলাইন দিয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস শুরু করা হলো আজ। অন্য পাইপলাইন দিয়ে শিগগিরই পরিশোধিত ডিজেল খালাস শুরু হবে।

মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নে উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান জেটি বা সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং স্থাপন করা হয়েছে। এ ভাসমান জেটি থেকে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি আলাদা পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে প্রথমে তেল নিয়ে আসা হবে কালারমারছড়ায় পাম্প স্টেশন ও ট্যাঙ্ক ফার্মে। সেখানে দুই লাখ টন ধারণক্ষমতার ছয়টি ট্যাংক রয়েছে। সেখান থেকে ৭৪ কিলোমিটার লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনা হবে আনোয়ারার সমুদ্র উপকূলে। সেখান থেকে ৩৬ কিলোমিটার পাইপলাইন পাড়ি দিয়ে তেল নেয়া হবে পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top