দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০১:০৪
ঢাকায় দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (পয়ঃশোধনাগার) কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এটাই প্রথম এ ধরনের প্লান্ট। প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন পয়ঃশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একক পয়ঃশোধন কেন্দ্র (এসটিপি) হবে এটি। যা রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা ওয়াসার ‘দাসেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার’ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়।
৩ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই শোধনাগারটির দৈনিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার ক্ষমতা আছে। যা রাজধানীর মোট পয়ঃশোধনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। প্ল্যান্টটি ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্য-৬ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের পানির চাহিদা পূরণের জন্য আমরা প্রথম সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছি। সেভাবেই শুরু হয় আমাদের পথ চলা।
তিনি বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে বিএনপির আমলে ঢাকা শহরে শুধুমাত্র ৬০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি পেত। সেটাও সম্ভব হয়েছে আমরা সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করেছি বলেই। এছাড়াও আমরা অনেক জায়গায় গভীর নলকূপ প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছিলাম।
সরকার প্রধান বলেন, সে সময়ে ঢাকার জনগণ ছিল এক কোটি ২০ লাখ। পানি উৎপাদন হতো দিনে ১২০ কোটি লিটার। আর ঢাকা ওয়াসার পানির বিলের মাত্র ৬৪ শতাংশ আদায় হতো। মোট রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৩০০ কোটি টাকা।
এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত পানি উৎপাদনে শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করি। বর্তমানে ঢাকার প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের দৈনিক ২৬০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৭০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হচ্ছে। আর রাজস্ব আদায় হচ্ছে শতভাগ। গেল অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসা দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, প্ল্যান্টটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও জনবান্ধব। নর্দমা থেকে পরিশোধিত পানি বালু নদীর পানিতে পড়ছে- যা নদীর পানির গুণগতমান বাড়ানোর পাশাপাশি পানি সুপেয় করে তোলে।
পাগলা সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং রায়েরবাজারের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার প্রধান নির্বাহী বলেন, সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্লাই অ্যাশ, পয়ঃশোধনের উপজাত সিমেন্ট কারখানায় বিক্রি করা হবে। পরে তাদের সঙ্গে চুক্তি সই হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।