ইউক্রেন যুদ্ধে ৯ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত

ইউক্রেন যুদ্ধে নয় হাজার দুশো’রও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সংস্থাটির রাজনৈতিক ও শান্তিস্থাপন বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজম্যারি ডিকার্লো এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর বিগত পাঁচশ’ দিনে ৫৩৭ শিশুসহ নয় হাজার ২৮৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এক হাজার ১১৭ শিশুসহ আহত হয়েছে ১৬ হাজার ৩৮৪ জন।

ডিকার্লো বলেছেন, বর্তমানে ৬৩ লাখেরও বেশি ইউক্রেনিয়ান শরণার্থী এবং ৫১ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে, তারা উচ্চ নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করে কেবল সামরিক স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করছে।

শুক্রবার ইউক্রেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার মনিটরিং মিশন (এইচআরএমএমইউ) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।’

এইচআরএমএমইউ'র ডেপুটি হেড নোয়েল ক্যালহাউন বলেন, ‘আজ আমরা যুদ্ধের আরেকটি ভয়ঙ্কর মাইলফলক অতিক্রম করছি। ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ হামলা চলছে।’

গত দুই সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনীয় ও রুশ বাহিনীর সবচেয়ে মারাত্মক লড়াই চলছে। গত ২৭ জুন পূর্ব ইউক্রেনের ক্রামাতোরস্ক শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার শিশুসহ ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

এরপর গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ভোরে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে আরেক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ জন নিহত ও আরও ৩৭ জন আহত হয়। একে বেসামরিক অবকাঠামোতে সবচেয়ে বড় হামলা বলে অভিহিত করেন লভিভ শহরের মেয়র।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মধ্যদিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সূচনা হয়। শনিবার (৮ জুলাই) সেই সংঘাতের ৫০০ দিন পূর্ণ হয়।