‘নুরের সঙ্গে কেএনএফের সম্পর্ক’ খতিয়ে দেখছে র‍্যাব

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৫:০৫

ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে পাহাড়ি উগ্রবাদী সংগঠন কেএনএফের যোগাযোগ খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই বাছাইয়ের কাজ আমাদের গোয়েন্দারা করছেন। যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে এ বিষয়ে বলা যাবে। বাহ্যিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কেএনফের ভেরিফায়েড পেজে যেহেতু এ বিষয়ে মন্তব্য করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে যোগাযোগ থাকতেই পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুর বলেন, ‘নাথান বমের সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে যেসব কথা বলে হচ্ছে, তা একেবারে আজগুবি, বানোয়াট কথাবার্তা। এ ধরনের কোনো যোগাযোগই আমার নাই। কেএনএফ সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, সরকারের পরামর্শে গঠিত হয়েছে। তাদের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ রয়েছে।’

নুর দাবি করে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে বিরোধী দলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। যেমন জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

রুমা উপজেলা সদর বাজারের বাসিন্দা নাথান বম ২০১২ সালে কুকি-চিন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনস (কেএনডিও) নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে কেএনএফ নামে সশস্ত্র সংগঠনে রূপান্তর করে সদস্য সংগ্রহ করেন।

ওই বছর অর্থের বিনিময়ে কেএনএফের গোপন আস্তানায় জঙ্গিগোষ্ঠী শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের চুক্তি করে। জঙ্গিগোষ্ঠীর অর্থায়ন পেয়ে কেএনএফ প্রথমে রুমা, পরে রোয়াংছড়ি ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নে গোপন আস্তানা গড়ে তোলে ও সশস্ত্র সদস্য সংগ্রহ করে।

ওই গোপন আস্তানাগুলোতে সমতল থেকে আসা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে কেএনএফ ও শারক্বীয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top