জামিন আবেদন নাকচ, বিএনপি নেতা আমানকে কারাগারে নেওয়ার আদেশ
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৮
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে আমান অসুস্থ হওয়ায় তার আইনজীবী অ্যাম্বুলেন্সে করে ডিভিশন দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত ডিভিশন মঞ্জুর করেন এবং জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন প্রদানের জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায় হাসপাতালে সুচিকিৎসা প্রদানের আবেদন করা হয়। এ আবেদনগুলো করেন তার তার আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
দুদকের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর আজ দুপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেন আমান।
সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল করেন। আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বের করে দেয় পুলিশ। আমানউল্লাহ আমানের সঙ্গেই আদালত প্রাঙ্গণে আসেন তারা।
গত ৭ আগস্ট দুর্নীতির মামলায় আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের দণ্ডের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণের পর আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে ওই রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।