প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে ১০ লাখ লোকসমাগমের প্রস্তুতি

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২২

ছবিঃ সংগৃহিত

কর্ণফুলীর তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের জন্য পুরো প্রস্তুত চট্রগ্রাম বন্দরনগরী। আগামী ২৮ অক্টোবর (শনিবার) এটি উদ্বোধনের পর চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক জনসমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফরকে ঘিরে গোটা বন্দরনগরীতে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ জনসভায় ১০ লাখ লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে টানেলের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে চলছে সাজসাজ রব। সমতল করা হচ্ছে জনসভার স্থান আনোয়ারার কেইপিজেডের মাঠ। সংস্কারের পাশাপাশি রঙ করা হচ্ছে সড়কগুলো। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নগরী ও আনোয়ারা প্রান্তে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে পথঘাট।

টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক ম্যুরাল। সঙ্গে আছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান। জনসভার স্থানে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। পরিদর্শন করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সিএমপির পুলিশের উপ-কমিশনার শাকিলা সুলতানা জানান, ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরের প্রথম পর্বে পতেঙ্গা প্রান্তে টানেল উদ্বোধন করবেন। এরপর টানেলের ভিতর দিয়ে তিনি আনোয়ারা প্রান্তে যাবেন। তারপর আনোয়ারায় কেইপিজেডের মাঠে রাজনৈতিক জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করবেন তিনি। এজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।

গেলো ১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।এতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু টানেল পারাপারে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাইভেটকার ও জিপের জন্য। সর্বোচ্চ টোল দিতে হবে ট্রাক ও ট্রেইলারকে। ট্রেইলারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোলের সঙ্গে প্রতিটি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে বাড়তি দিতে হবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top