এবার হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন!

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৪৫

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন দায়ের করা হয়েছে।মির্জা ফখরুলের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গেলো ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

ওইদিন বিচারক বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বিরুদ্ধে করা এ মামলাটি এখনও নতুন। এ পর্যায়ে তিনি জামিন পেতে পারেন না।

গেলো ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও এ মামলার অন্যান্য আসামি হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

পরে ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ওইদিন রাতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানোর মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ডিবি অফিস থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ন কবীর খান।


বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আবার গেলো ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে ফের মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। যা ২০ নভেম্বর শুনানির দিন ছিল। ওইদিন শুনানি শুরু হলে আদালতে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল দেখা দেয়। পরে বিচারকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে জামিন শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন বিচারক ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top