ফানুস উড়াতে গিয়ে ৩ কিশোর দগ্ধ
আইন না মেনে আতশবাজি-ফানুসে নতুন বছর উদযাপন
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৫:০৩
ঘড়ির কাঁটা রাত ঠিক ১২টা বাজতেই আতশবাজির ঝলকানিতে রঙিন হয়ে উঠে পুরো রাজধানী। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতের আকাশে জ্বলতে দেখা যায় বর্নিল আলো। কেউ উড়িয়েছেন ফানুস, কেউবা আতশবাজি। গানের তালে তালে নেচে-গেয়ে দিনটি বরণ করেন রাজধানীবাসী। পুরাতনের গ্লানি ভুলে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর (২০২৪) বরণ করে নিতে এই আয়োজন চলে দেশজুড়ে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষে কিছু নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে ছিল অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফুটানো, ফানুস ওড়ানো এবং মশাল মিছিল নিষিদ্ধ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে আতশবাজি ও ফানুসে সারাদেশে এক কোটি আট লাখ ৬৮ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি না ফোটানো এবং ফানুস না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাহিনীটি।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২০২২ সালের থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর কারণে শতাধিক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। যাতে প্রায় ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো থেকে ২০২১ সালে ১৬টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় চার লাখ পাঁচ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ওই বছর আতশবাজির উচ্চশব্দে তানজিম উমায়ের ওরফে মাহমুদুল হাসান নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
২০২০ সালে ৫০টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৭২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং ২০১৮ সালে ৪২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫৬ লাখ ছয় হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এসব অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস তিন কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার সম্পদ উদ্ধার করে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।