সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:২০
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের ভোট ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে কমিশন সভার মাধ্যমে। অশোক কুমার বলেন, সংসদ সদস্য যারা ভোটার তাদের তালিকা পেয়েছি। সেটার খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। খসড়া তালিকায় কারও আপত্তি না থাকলে আমরা সেটা চূড়ান্ত ভোটার হিসেবে ২৯৯ জন সংসদ সদস্যকে ঘোষণা করবো।
তিনি আরও বলেন, সংসদ থেকে খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে, সে তালিকায় কোনো আপত্তি না থাকলে আগামী সপ্তাহে সেটা নির্বাচন কমিশনে উঠবে, কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জানুয়ারি মাসে হওয়ার সম্ভাবনা কম, ফেব্রুয়ারি মাসে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এবার বিপুল স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে, সে জায়গাগুলোতে সংরক্ষিত আসন বণ্টন কীভাবে হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে, এ বিষয়ে কমিশনের তেমন কোনো বক্তব্য নেই। রাজনৈতিক দল কোটা অনুযায়ী, কয়টা আসন পাবে সেটা বলে দেওয়া হবে।
দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সর্বোচ্চসংখ্যক ১০ জন সংরক্ষিত নারী এমপি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, কল্যাণ পার্টি একটি, স্বতন্ত্র ৬২টি আসন পেয়েছে। বাকি একটি আসন নওগাঁ-২ এ একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৩৮টি (নৌকা প্রতীকে জয়ী জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির দুইজনসহ), জাতীয় পার্টি দুটি, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১০টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে। সরাসরি নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পাওয়ায় সংরক্ষিত নারী আসন না পেলেও স্বতন্ত্ররা কোথাও যোগ দিলে তখন হিসাব পাল্টাবে।
এ নির্বাচনে ভোটের জন্য একটি দিন রাখা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই। ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমান সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয় বলে প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।