রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জোরেশোরে চলছে বইমেলার প্রস্তুতি, সরগরম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। রাতভর ব্যস্ততায় সব কাজ সম্পন্নের কার্যক্রম চলছে জোরেশোরে। কাজ শেষ হতে লাগতে পারে আরও ১০-১২ দিন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই স্টল নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। ২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে স্টল।

বইমেলা ঘিরে প্রস্তুত প্রকাশনীগুলোও। দিন-রাত কাজ করছেন তারা। ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করবেন। সেদিনই পর্দা উঠবে বইমেলার। 

সম্প্রতি সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বর ঘুরে দেখা যায়, স্টল নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। একাডেমির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ম্যাপ মেনে স্টল নির্মাণ চলছে। এছাড়া তথ্যকেন্দ্র, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাসহ বিভিন্ন মঞ্চ ও বইমেলার মিডিয়া সেন্টার নির্মাণের কাজও চলছে।

বাংলা একাডেমি জানায়, পত্রিকায় দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবছর প্রায় ৭০টি নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিল। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ২১টি প্রকাশনাকে বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরেরগুলো অপরিবর্তিত থাকছে। সব যাচাই-বাছাই শেষ হলে বইমেলায় কতগুলো স্টল থাকছে তা ২৩ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।

বাংলা একাডেমি থেকে ঢাকার ২৫টি স্কুলের শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় আনার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবার মেট্রোরেলও চালু থাকবে রাত পর্যন্ত।

বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার শুধু মেলার পূর্বপ্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা সাতটি কোর কমিটি করেছি। এই কমিটি ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

গত মেলায় অনেক অভিযোগ ছিল। একটা প্রকাশনী নিয়ে অনেক অস্থিরতা ছিল, এবার সেটি নেই। তাই আমরা গত বছরের মার্চ থেকে কাজ শুরু করেছি। এবার আমরা পুস্তক সমিতি থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সদস্য ও মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে নিয়ে বইমেলার একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘মেলায় প্রতি বছর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনেক অভিযোগ আসে, বিশেষ করে টাকার বিষয়ে। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মিল পাওয়া যায় না। তাই এবার আমরা নিজেরাই সব তদারকি করছি।’

মেলার অবকাঠামোগত বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবকাঠামোগত বিন্যাস আগের মতোই আছে। একটা গলির সামনে দাঁড়ালে এর শেষ মাথা দেখা যাবে। গুচ্ছ আকারে থাকবে না। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের লাইন আলাদা থাকবে, যাতে স্টল খুঁজে পেতে সহজ হয়।’

১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন। এরপর নানা রূপ-রূপান্তরের মাধ্যমে অমর একুশে বইমেলা আজ বাঙালির আরাধ্য মেলায় পরিণত হয়েছে।






পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top