• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে আমদানিকারকরা

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৪, ১৬:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় পাঁচ মাস ছয় দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সেই পেঁয়াজ নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক। এদিকে হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি আরএসবি এন্টারপ্রাইজের আমদানিকারক আহম্মেদ সরকার বলেন, ১৪ মে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে নাসিক জাতের ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করি। পেঁয়াজ আমদানি করতে ভারত সরকারের বেধে দেয়া শুল্কের ৪০ শতাংশ হারে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ১৬০ রুপি পরিশোধ করতে হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রতি কেজিতে প্রায় ২৫ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে বাংলাদেশে প্রতি কেজিতে ৬ টাকা ৩৪ পয়সা শুল্ক দিতে হয়েছে। আর ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা পড়েছে প্রায় ৩০ টাকা। সেই হিসাবে সব খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে প্রায় ৬২ টাকা খরচ পড়েছে। আর বাংলাদেশে স্থানীয় বাজারে দেশি জাতের পেঁয়াজ এখন ৬০ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে এখন কেনা দামে পেঁয়াজ বিক্রির ক্রেতাও পাচ্ছি না। দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সমান থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। আট দিন ধরে গুদামে পেঁয়াজ পড়ে আছে। ফ্যানের বাতাস দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সমান থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। আট দিন ধরে গুদামে পেঁয়াজ পড়ে আছে। ফ্যানের বাতাস দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, গত ১৪ মে ভারত থেকে একটি ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য ৪০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৪৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শাহীনুর রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, ভারত সরকার যদি পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে অথবা শুল্কের পরিমাণ না কমায়, তাহলে পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা কেউই লোকসানের ভয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবেন না। এখন পেঁয়াজ আমদানি করলে আমদানিকারকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক কমানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন পাঠাতে দুই দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top