রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

পুলিশ নিয়ে সংবাদ প্রকাশে সতর্কতা ইস্যুতে যা বললেন আইজিপি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৪, ১৬:৩৯

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ নিয়ে সংবাদ প্রকাশে ‘সতর্ক’ হতে হবে। সম্প্রতি এমন চিঠি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এনিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের এ বিষয়টির সমাধান হবে।

আজ বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কার্যালয়ে আইজিপি বলেন,  পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়েই নিরসন হবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।

অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েনকে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে জানতে চাইলে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

আইজিপি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে আসছি। এক সময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। সেই নীতির আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে ভিন্নমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো তালা লাগানো থাকে না, সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে। মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। বিল্ডিং এবং জনবল বাড়বে- এটা আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্য দিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সুন্দরবন কখনো শান্ত ছিল না, দস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেছেন। এক সময় খুলনার জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় আমরা সেই সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। খুলনা এখন শান্তির নগরী।

এর আগে কেএমপিতে ৪ তলা অস্ত্রাগার ভবন, ৬ তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আইজিপি। এ ছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন তিনি। পরে কেএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top