দুঃসময়ে অনেকের খবর ছিল না - রিজভী

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫১

সংগ্রহীত

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অনেকে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, দুঃসময়ে অনেকের খবর ছিল না। এখন ফিরে এসে খবরদারি করছে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, বিগত ১৬/১৭ বছর ফ্যাসিবাদী অপশাসন-নিপীড়নের চাপে জর্জরিত নেতাকর্মীরা যখন অসহায় এবং ধ্বংসের মুখোমুখি, ঠিক সেই সময়ে নিজেদের আত্মসুখ বৃদ্ধির জন্য দেশ ও দল ছেড়ে অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এই দুঃসময়ে অনেকেরই কোনো খবর ছিল না। এখন প্রবাস থেকে ফিরে জনপ্রশাসন, পুলিশ ও মিডিয়া হাউসকে টার্গেট করে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। নিজদেশে বাস্তুহারা হয়েছিল। ৬০ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্রের যবনিকাপতন ঘটানো হয়েছিল। কিন্তু সেই দুঃসময়ে অনেকেরই খবর ছিল না।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানসহ বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ৬ মিলিয়ন নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা ও ফরমায়েশি সাজা দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির যবনিকাপাত ঘটানোর আয়োজন করা হয়েছিল। নিপীড়নের চরম অভিঘাত, অপ্রীতিকর ও মর্মপীড়াদায়ক ঘটনার ধারায় নিপীড়নের চাপে জর্জরিত নেতাকর্মীরা যখন অসহায় এবং ধ্বংসের মুখোমুখি ঠিক সেই সময়ে নিজেদের আত্মসুখ বৃদ্ধির জন্য দেশ ও দল ছেড়ে অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমায়। এই দুঃসময়ে অনেকেরই কোন খবর ছিল না। সম্প্রতি ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনুকূল পরিবেশে নিজ স্বার্থ সংরক্ষণ ও স্বার্থ বৃদ্ধির মানসে নিজ অনুকূলে প্রশাসনকে প্রভাবিত করা সহ নানা প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে বলে দল বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছে।
রিজভী বলেন, এক্ষেত্রে জনপ্রশাসন, পুলিশ ও মিডিয়া হাউসকে টার্গেট করে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। অথচ দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের ওপর যখন উত্তরোত্তর ক্রমবর্ধমানভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পৈশাচিক নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছিলো তখন নিজেদেরকে নিরাপদ রাখতে এরা বিদেশে শান্তি ও স্বস্তিতে দিনযাপন করেছে। রাজনৈতিক দুর্যোগের ঘনঘটায় এদের জীবন কেটেছে নিরাপদে। অথচ আওয়ামী ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের পতনের পরেও তাদের সৃষ্ট ক্ষতচিহ্নগুলো এখনও নিরাময় হয়নি। ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনার পেটোয়া বাহিনীগুলোর ছেঁাড়া বুলেট ও ধারালো অস্ত্রে দীর্ঘ দুই মাসের অধিককাল জীবন—মৃত্যুর লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে এখনও প্রতিদিনই কেউ না কেউ মৃত্যুবরণ করছে।

অনেকেই দলের নাম ভাঙিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের সুনাম নষ্ট করছে। অথচ রাজনৈতিক দুর্যোগের ঘনঘটায় এদের জীবন নিরাপদে কেটেছে। এখন অনেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মিডিয়া হাউজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে খবরদারি করার চেষ্টা করছে। তারা কেউ বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে না।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top