গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট, বিপদে গার্মেন্টস মালিকরা

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:১১

সংগ্রহীত

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে নির্ধারিত সময়ে বায়ারদের শিপমেন্টসহ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে না পেরে চরম বিপাকে রয়েছেন এ শিল্পের মালিকরা।

বর্তমানে তৈরি পোশাক কারখানায় প্রচুর ক্রয়াদেশ রয়েছে। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে রপ্তানিতে। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এ খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ২৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে যা হয়েছে ১২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার।

তবে বর্তমানে গ্যাস না পাওয়ার কারণে বিপদে পড়ছে অনেক শিল্পকারখানা। বিদেশি ক্রেতাদের সময়মতো পণ্য দিতে পারছেন না অনেক রপ্তানিকারক। ভয়াবহ গ্যাস সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, মদনপুর, বন্দর, কাঁচপুর, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, ফতুল্লার কাঠেরপোল, বিসিক শিল্পনগরীসহ জেলার বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে।

বিটিএমএর স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাজিব হায়দার বলেন, 'কারখানাগুলোর সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রয়োজন। কারখানাগুলো যদি পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে চলতে না পারে, তাহলে তারা লোকসানে পড়বে। ফলে এ খাতে বিনিয়োগ করতে কেউ আগ্রহী হবেন না।'

স্পিনার লিটল গ্রুপের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, 'পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকায় শুধু বস্ত্র কারখানাগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, কিছু তৈরি পোশাক কারখানাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।' অর্থনৈতিক সংকটের এই সময়ে বস্ত্র কারখানাগুলোকে তাদের পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগাতে সহায়তা করতে হবে, যাতে তারা আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখতে পারে।

তিনি আরোও, তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরা আমদানি করা সুতা ও কাপড়ের ওপর নির্ভরতা কমানো ও কম সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে বেশি পরিমাণে স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় দেশে বস্ত্র কারখানাগুলোর সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top