দেশের ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনী পাশে দাঁড়িয়েছে: সেনাপ্রধান
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০৪
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনী পাশে দাঁড়িয়েছে। সবাই মিলে কাজ করলে দেশের এই ক্রান্তিলগ্ন থেকে বের হওয়া যাবে। রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদেরকে সংবর্ধনা এবং সেনাবাহিনীর শান্তিকালীন পদক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা যেন দেশ জাতিকে একটি ভালো ও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশের যে পরিস্থিতি চলছে, সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় সেভাবে আমরা কাজ করছি।
মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে সেনাপ্রধান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই আজকের এ অবস্থান। দেশের শান্তী রক্ষায় দিনরাত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানটি ঢাকা সেনানিবাসস্থ 'আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স' এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য ও তাদের নিকটাত্মীয়দের সংবর্ধনার জন্য আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন। এছাড়াও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে শান্তিকালীন সময়ে বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ জন সেনাবাহিনী পদক (এসবিপি), পাঁচ জন অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি) ও ১৮ জন বিশিষ্ট সেবা পদক (বিএসপি) প্রাপ্ত সর্বমোট ২৮ জন সেনাসদস্যকে পদক পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা এবং শান্তিকালীন পদক প্রাপ্ত সেনাসদস্যদের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর সেনাসদর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য, তাদের নিকটাত্মীয়, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।