আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, আটক ৭
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৮
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে হামলায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া তিনজন পুলিশের উপ-পরিদর্শক। এছাড়া, একজন ডেপুটি এসপিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা ও প্রতিবেশী দেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় ত্রিপুরা পুলিশ তাদের তিনজন সাব-ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করেছে এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন উপ-পুলিশ সুপারকে (ডিওয়াইএসপি) প্রত্যাহার করেছে। এছাড়া হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজন ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরা পুলিশের এসপি কিরণ কুমার জানান, এ ঘটনায় আগরতলার নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালান হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকরা। তারা সহকারী হাইকমিশন ঢুকে ভাঙচুর চালান ও বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন।
ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশের (ভারতের) অন্যান্য স্থানে তাদের উপ ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে আগরতলার হামলার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনা কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।