পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩:২৭

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ব্যাপক সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ বেশ কিছুদিন ধরে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম ছিলেন। টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী ।

গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। ওই পদত্যাগপত্রে টিউলিপ লিখেছেন, আমি কোনো দোষ করিনি। তবে আমি পদে থাকলে হয়তো সরকারের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। খবর এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স, বিবিসির।

টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্রিটেনে এবং বাংলাদেশে দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। একদিকে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত বাংলাদেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প থেকে অর্থ সরানোর অভিযোগও উঠেছে। এসব নিয়ে বাংলাদেশে তদন্ত শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়াও, সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।

এসবের মধ্যে দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। তারা বলছিল, টিউলিপের ওপর ব্রিটেনের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।

এদিকে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিউলিপকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সত্য হলে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি মন্ত্রণালয়ে এসেছে পরিবর্তন। অর্থনৈতিক সচিব পদে সিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এমা রেনল্ডস।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top