সাত কলেজের আন্দোলন প্রত্যাহার
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:৩৮
দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহিদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এবং প্রত্যাহার করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়েরও ঘোষণা দেয় তারা।
সাতটি সরকারি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
এসব কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছিল। নিয়মিত ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া, সময়মতো ফল প্রকাশ, সেশনজট কমানোসহ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রায় আট বছর আগে এসব কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আনা হয়েছিল। কিন্তু আট বছরেও সব সমস্যার সমাধান হয় নাই। শিক্ষাবিষয়ক সমস্যাগুলোর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু ‘অবহেলা’র অভিযোগও সামনে আসে।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের অশোভন আচরণের অভিযোগ এনে গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড়ে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে রাত ১১টার দিকে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া। শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
সংঘর্ষের পর সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফা দাবি জানায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওইদিনই জরুরি বৈঠকে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে সেই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। পরে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।