‘ইস্তফা দিলাম, জীবনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করব না’
বার্তাকক্ষ | প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৫, ১৫:০৮

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, আমি রাজনীতি থেকে একেবারে অব্যাহতি নিলাম। আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। আমার দলীয় কোন পদ নেই। ৭৬ বছর বয়সের রাজনীতি করা যায় না। আমরা চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক।
সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে তিনি এ কথা বলেন। এদিন কামাল আহমেদ মজুমদারসহ ছয়জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ প্রহরায় তাদের হাজতখানা থেকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। ১০টা ৭ মিনিটে এজলাসে আসেন বিচারক। এরপর কাফরুল থানার মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়।
শুনানির এক পর্যায়ে কামাল আহমেদ মজুমদার কথা বলার জন্য হাত তোলেন। তখন বিচারক এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে বিচারক তাকে কথা বলার অনুমতি দেন।
তখন কামাল আহমেদ মজুমদার আক্ষেপ করে বলেন, আমার ৭৬ বছর বয়স। আমার চোখে সমস্যা। ৭০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমার পরিবার সম্পর্কে কোনো খোঁজ-খবর নিতে পারছিনা। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করব না। রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিলাম। আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। এখন থেকে প্রাথমিক সদস্য পথ থেকেও পদত্যাগ করলাম।
কারাগারে ডায়াবেটিসের চেক করার জন্য ডিজিটাল কোনো যন্ত্র বা ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি পবিত্র কোরআন শরিফও দেওয়া হয়নি। একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক নির্যাতন করা হচ্ছে। এই বয়সে আমার ওপরে জুলুম চালানো হচ্ছে। আল্লাহকে ডাক দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এজন্য আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি ডায়াবেটিসের ওষুধ, ডায়াবেটিস মাপার ডিজিটাল যন্ত্র এবং ডিজিটাল কোরআন শরিফ দেওয়া হোক।
এসময় বিচারক বলেন, আপনার সবগুলো দাবি আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করুন। এরপর বিচারক তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।