মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসা রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে চলছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
রোববার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে আইএসপিআর থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে শিশুটিকে নিয়ে ফেসবুকে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এমনকি তার ‘মৃত্যুর খবর’ জানিয়ে অনেকে শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাসও দেন।
এর মধ্যেই, শিশুটির চিকিৎসা চলছে বলে জানায় আইএসপিআর। শনিবার বিকেলে শিশুটিকে ঢামেক হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউ থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে শিশুটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এমনকি তার ‘মৃত্যুর খবর’ জানিয়ে অনেকে শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাসও দেন।এর মধ্যেই শিশুটির চিকিৎসা চলছে বলে জানায় আইএসপিআর।
বার্তায় বলা হয়, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
শিশুটির পরিবারের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিন আগে শিশুটি তার বড় বোনের (শ্বশুর) বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে আসেন।
চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির গলায় একটা দাগ আছে। মনে হচ্ছে, কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়েছিল। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় আছে। তার যোনিপথে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এদিকে গত শনিবার শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। ঢামেকে পিআইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। এখন সিএমএইচেও তাকে পিআইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় শিশুটির বড় বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।