হিযবুতের মতো সংগঠন ঠেকাতে গোয়েন্দা সক্ষমতা কতটুকু?

হিযবুত তাহরীর কারা, কেন সংগঠনটি বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ?

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৫, ১৫:২৪

ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর কিভাবে ঢাকায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করলো, এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। বেশ আগে থেকেই সাতই মার্চ বায়তুল মোকাররম থেকে মার্চ ফর খিলাফত কর্মসূচির ঘোষণা দেয় হিযবুত তাহ্রীর। প্রচারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরসহ নানা স্থানে লাগানো হয়েছিল পোস্টার।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে মিছিল বের করে সংগঠনটি। খিলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে স্লোগান দেন তারা। কর্মসূচির আগের দিন পুলিশ বিবৃতি দেয়, সংগঠনটি সভা-সমাবেশ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতেই সংগঠনটির কয়েকশ নেতাকর্মী মিছিল করেন। ওই ঘটনায় হিযবুত তাহরীরের ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কর্মসূচি ঠেকাতে না পারায় পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সংগঠনটি বলছে, আদর্শগতভাবে হিযবুত তাহ্রীরের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। তারা গণতন্ত্র বিরোধী। কোরআন সুন্নাহর আলোকে সংবিধান চান তারা। এরকম একটি খসড়া সংবিধানও সংগঠনটির রয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের কয়েকটি আরব দেশ, জার্মানি, তুরস্ক, পাকিস্তানে হিযবুত তাহ্রীর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যেও তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যে প্রেসনোট জারি করেছিল তাতে বলা হয়, সংগঠনটি শান্তি শৃঙ্খলা এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি।

গণঅভ্যুত্থানের পর প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে হিযবুত তাহ্রীরের। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুদিন পর সংসদ ভবনের সামনে সভা করতে দেখা যায় হিযবুত তাহ্রীরের কর্মীদের।

সাদা কালো কাপড়ে ইসলামের কলেমা লেখা পতাকা, খিলাফতের দাবি সম্বলিত ব্যানার লিফলেট নিয়ে শখানেক কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিল। একই দিনে সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে একটি সভা করে। প্রশ্ন উঠেছে, হিযবুতের মতো সংগঠন ঠেকাতে গোয়েন্দা সক্ষমতা আসলে কতটুকু?

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top