গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৭:৩১

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরায়েল। অন্যায় এই হামলার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার (১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও উদ্বেগ জানানো হয়।
এতে অবিলম্বে সকল সামরিক অভিযান বন্ধ করে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। যুদ্ধ বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন আবারও শুরু হওয়ায় এর তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ সরকার। এই আগ্রাসনে নিরীহ বেসামরিক লোক—বিশেষ করে শিশু ও নারীদের—ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং ইতোমধ্যেই সংকটাপন্ন অঞ্চলটির মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে। এই সহিংসতার নতুন চক্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুলোর প্রতি গুরুতর অবহেলার বহিঃপ্রকাশ।
এতে আরো বলা হয়, গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্বিচারে বিমান হামলায় দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানায় বাংলাদেশ। এ হামলা মানবিক দুর্ভোগকে আরও তীব্র করেছে এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলেছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ করা, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি জোরালো আহ্বান জানায়, যেন অবিলম্বে সংঘাত বন্ধ, বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা নির্বিঘ্নে সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি বাংলাদেশ তার নীতিগত অবস্থান বজায় রেখে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারসমূহের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার।
১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথাও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের প্রতি অটল সমর্থনের কথাও বলা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
এছাড়া ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে সংলাপ পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ফিলিস্তিন ইস্যুর টেকসই সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয় বিবৃতিতে।
বিষয়: ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকা যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েল ইসরায়েলি হামলা বাংলাদেশ সরকার
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।