উটপাখি ও কুমিরের বুকের চামড়া দিয়ে তৈরি হতো সাইফুজ্জামানের বিশেষ জুতা
বিশ্বের বুকে সম্পত্তির সাম্রাজ্য গড়ে তোলা এক রাজনীতিকের গল্প, বাংলাদেশি প্রোপার্টি এম্পায়ার
রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৫

ফ্লোরিডার ওকালা ন্যাশনাল বনের পশ্চিম সীমান্ত। অরল্যান্ডো থেকে উত্তরে মাত্র এক ঘণ্টার গাড়ি চালানোর রাস্তা। সেখানে এক খণ্ড আধা একর জমি। যা নিয়ে শিগগির আন্তর্জাতিক মামলা শুরু হতে পারে। ম্যারিয়ন কাউন্টির সম্পদ মূল্যায়নকারীর রেকর্ড বলছে এসব কথা। সেখান থেকেই জানা যায়, ওই জমিটি প্রায় দুই দশক আগে কিনেছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর গোপন সম্পদের খবর। প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে সাইফুজ্জামান তার গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। খবরের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- দ্য বাংলাদেশি পলিটিশিয়ান হু বিল্ট আ শ্যাডো গ্লোবাল প্রোপার্টি এম্পায়ার।
শেখ হাসিনার সরকারের সাংসদ সাইফুজ্জামান। তিনি ৪৮ হাজার ডলারের যে রিয়েল এস্টেট সম্পদ কিনেছিলেন তার একটি হচ্ছে ফ্লোরিডার ওই জমি।
১৯৯২ থেকে ২০২৪ সাল। ২৯৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৪৮২টি গোপন সম্পদের পাহাড়। এসব খোঁজ পেয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। এসব সম্পদের একটি অংশ ফেরত চায় বাংলাদেশ।
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা এবং পাম জুমেইরা কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ। কিংবা লন্ডনের কমিউটার শহর। সব জায়গায় সাইফুজ্জামানের বিশাল সম্পদের পাহাড়। দামি দামি সব অ্যাপার্টমেন্ট।
উটপাখি ও কুমিরের বুকের চামড়া দিয়ে তৈরি হতো সাইফুজ্জামানের বিশেষ জুতা। সম্পূর্ণ বুকের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতার দাম ছয় হাজার পাউন্ড।
বাংলাদেশ সরকারের নজরদারিতে আছেন সাইফুজ্জামান। দেশ পুনর্গঠন হচ্ছে। আর পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার দিকে ঝুঁকছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বছর সাইফুজ্জামানের গোপন সম্পদের তথ্য ফাঁস করে দেয় আল জাজিরার অনুসন্ধানী টিম।
সংবিধান বলছে, রাজনীতিবিদদের অবশ্যই তাদের বিদেশি সম্পদের কথা ঘোষণা করতে হবে। একজন মন্ত্রী অবলীলায় কিভাবে তা লুকিয়ে রাখেন সেটাই প্রশ্ন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।