আওয়ামী লীগের নিবন্ধন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে নাহিদের আহ্বান
রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ২ মে ২০২৫, ১৮:৫২

সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার এই তিনের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এগিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল করতে হবে। জনগণ তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার (২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক বলেন, ‘৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে যে তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা যখন বলি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে, তখন উপায় দুটি—একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে অবস্থান জানিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। সেটি ৫ আগস্টেই ঘটেছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, যেখানে জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। জনরোষে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না—এই আলোচনা অবান্তর। তারা রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের আইনি পরিণতি কী হবে।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ ঘটানোর পক্ষে মত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বিচারের মাধ্যমে তাদের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা পাওয়া সম্ভব।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাজনীতি এখন এগোচ্ছে তিনটি বিষয় ঘিরে—সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার। এর কোনোটিই একে-অন্যের পরিপন্থী নয়। বরং এই তিনটির মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলই সংস্কারের কথা বলছে। একটি মৌলিক সংস্কারের জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব। তা না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।’
জানাক নেতা বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সবসময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস জরুরি। তা না হলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের চেষ্টাও সফল হবে না।’
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।