মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হলেন দেশনেত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৫, ১৪:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪২ মিনিট। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তখন হাজারো মানুষের ঢল। ঠিক এমন সময় অপেক্ষার অবসান হলো। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ ফ্লাইটে অবতরণ করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসা শেষে চার মাস পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন দেশনেত্রী।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেন তারা। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে একবারে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন পর্যন্ত ছিল নেতাকর্মীদের ভিড়। এসময় স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে আশপাশের এলাকা।

বিমানবন্দরে নামার পর বেগম জিয়াকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। পরে কড়া নিরাপত্তার সাথে তিনি বিমানবন্দর থেকে বের হন।

খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ। দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে প্রায় ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটল পুত্রবধূ জোবাইদার। জীবনের ঝুঁকি থাকায় তাকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাড়া বাসা ফিরোজা এবং ধানমন্ডিতে জোবাইদা রহমানের বাবার বাসা মাহবুব ভবন প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে জোরদার করা হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফিরোজায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সাজসজ্জা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যের জটিলতা বিবেচনায় রেখে সেখানে বিশেষ মেডিকেলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর ত্যাগ করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। পথে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি হয়।

হিথরো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে গতকাল বিদায় জানান বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বাসা থেকে মাকে বিমানবন্দরে নিয়ে যান। বিদায় বেলায় সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। টানা ১৭ দিন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি ২৫ জানুয়ারি থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top