শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মহাবিপর্যয়: ৮.২-৯ মাত্রার ভূমিকম্প আসতে পারে, বাঁচার উপায় কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২১

সংগৃহীত

সম্প্রতি মাঝারি মাত্রার যে ভূমিকম্পটি পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, তা ছিল স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহ। দুটি টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে এই কম্পন হয়েছে—ইন্দো-বার্মা প্লেটে। এটি ছিল শক্তি আনলকিং-এর শুরু।

আমাদের বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান, এবং বার্মিজ প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। প্লেটগুলো গতিশীল, তাই ভূখণ্ড সরছে। এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতা বা ইনটেনসিটি ছিল ৫ থেকে ৬।

গবেষকরা বহু আগেই ন্যাচার জিওসায়েন্সে প্রকাশ করেছেন—এই সাবডাকশন জোনে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়ে আছে। যে কোনো সময় মহাবিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

গতকালকের কম্পন ছিল জমা হওয়া শক্তির একটি ক্ষুদ্র অংশ খুলে যাওয়া মাত্র। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্প অবশ্যম্ভাবী। অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং ত্রুটিযুক্ত বিল্ডিং কোডের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে জনবহুল ঢাকা।

এখন আমাদের স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। রাতারাতি অবকাঠামো পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা নগরবাসীকে সচেতন করতে পারি! স্মার্টফোনের মাধ্যমে দ্রুত প্রশিক্ষণ দিয়ে ভূমিকম্পের মহড়া নিয়মিত করতে হবে।

সরকার উদ্ধারকার্যের পরিকল্পনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু ভূমিকম্পের আগেই যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে উদ্ধারকারীরাও ঝুঁকিতে পড়বে। আমাদের মনোবলের অভাব এবং আতঙ্ক, জানমালের ক্ষতিকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

তাই বারবার বলা হচ্ছে: ভূমিকম্পের মহড়ার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও মনোবল বৃদ্ধি করুন। দু-এক কদমের মধ্যে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার প্রশিক্ষণ নিন। এটাই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম রাখার একমাত্র উপায়।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top